মিরপুরে খালি হাতে ফিরলেন ফ্যামিলি কার্ডের বেশিরভাগ ভোক্তা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সারাদেশে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির প্রথম দিনই মিরপুরের বেশিরভাগ ভোক্তাই ফিরেছেন খালি হাতে। এবার আর আগের মতো ট্রাকে নয়, শুধু ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য মিলছে।

রাজধানীতে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্ধারিত টিসিবির ডিলারের দোকান অথবা স্থায়ী স্থাপনায়। বুধবার (২২ জুন) সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুর এলাকায় সাতজন ডিলারের মধ্যে পণ্য দিতে পেরেছেন মাত্র দুজন। খুঁজে পাওয়া যায়নি একটি দোকান। নানা জটিলতার কথা জানিয়ে ডিলাররা বলছেন, বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) থেকে তারা পণ্য দেওয়া পুরোদমে শুরু করতে পারবেন।

টিসিবির তালিকায় এক নম্বর সারিতে মিরপুর ১২নং সেকশনের সাত নম্বর রোডে মেসার্স বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোরের নাম রয়েছে। তবে সাত নম্বর রোডে এমন কোনো দোকান খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সাত নম্বর রোডে তিনটি মুদি দোকান থাকলেও উল্লিখিত নামে কোনো দোকানের কথা বলতে পারেনি কেউ। টিসিবির তালিকায় থাকা ডিলার মেসার্স বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোরের ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া গেছে।

মিরপুর কাজীপাড়ার মনিপুর মোল্লাপাড়া এলাকার মেসার্স রানা স্টোরও এদিন পণ্য দিতে পারেনি। কারণ হিসেবে দোকানটির মালিক ও টিসিবির ডিলার মো. রানা বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আজ টাকা জমা দিতে পারিনি। কাল আমার হয়ে আরেকজন টাকা জমা দিয়ে পণ্য তুলবে। কাল থেকে ক্রেতাদের পণ্য দেওয়া যাবে।’

মিরপুর-১ নম্বরের মেসার্স জাকির রাইচ এজেন্সি মাত্র চারজন ক্রেতাকে পণ্য দিতে পেরেছেন। দোকানটির মালিক জাকির বলেন, আমরা দুপুর থেকে বিক্রি শুরু করেছি। তবে আজ ভোক্তা খুব কম। আগামীকাল থেকে ভোক্তা বাড়বে। কমিশনার এখনো কার্ড দিচ্ছেন।

তবে ব্যতিক্রম ছিল মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের শাহিদুল ইসলামের দোকান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৪৮ জন ক্রেতাকে পণ্য দিতে পেরেছেন তিনি।

বিকেল ৫টায় মেসার্স রেড পুষ্প জেনারেল স্টোর নামের দোকান মালিক বলেন, আমার দোকানে এখনও পণ্য দেওয়া চলছে। সকাল থেকে ৩৪৮ জনকে দিতে পেরেছি। যতক্ষণ কার্ড আসবে ততক্ষণ দেবো। এক হাজার কার্ডের পণ্য দিয়ে গেছে আজ। এর মধ্যে তেল ২ লিটার, ডাল ২ কেজি, চিনি ১ কেজি।

টিসিবির পণ্য বিক্রির ফলে তার মুদি ব্যবসাও হাল্কা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান। মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশনের মেসার্স নাফিজ স্টোর এদিন পণ্য দিতে পারেনি। কারণ হিসেবে দোকানটির মালিক মো. রানা জাগো নিউজকে বলেন, বিকেলে আমি পণ্য রিসিভ করেছি। আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে পণ্য বিক্রি করা শুরু করতে পারবো।

একই অবস্থা মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের বাউনিয়াবাঁধ এলাকার লাবনী এন্টারপ্রাইজের। দোকানটির মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা পণ্য পাইছি গতকাল। আমাদের কাউন্সিলরের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামীকাল থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করবো।

একই সেকশনের এল-৭, বর্ধিত এলাকার দোকান মেসার্স খান জেনারেল স্টোরের মালিক গোলাম রসুল বলেন, বিকেলে পণ্য পেলাম। এখনও পণ্য নামাচ্ছি। কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা আছে সেগুলো ঠিক করে আগামীকাল থেকে পণ্য বিক্রি করা শুরু করবো।

একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা ও মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবার আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত টিসিবি নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে পণ্য কিনতে পারবেন।

Related posts:

পাবনার চাটমোহরে বিদ্যুস্পৃষ্টে লাইনম্যানের মৃত্যু
শুধু ব্যবসায়ীদের বক্তব্যকেই আমলে নিচ্ছে কি ট্যারিফ কমিশন?
বিসিক জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন গরুর হাটে শিল্প লবন বিক্রি
বাজারের অস্তিরতায় সীমাহীন দুর্দশা
বিদ্যুৎ ছাড়াই ৩ বছরে সরকারের গচ্চা ৫৪ হাজার কোটি টাকা
কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে আশঙ্কা
অন্য ওষুধ লিখে তা বিক্রির অভিযোগ: জরিমানা করল ভোক্তা অধিদপ্তর
অনুমোদনহীন সস দেওয়ায় আল কাদেরিয়া হোটেলকে জরিমানা
হবিগঞ্জে চালের মুল্য বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান
রংপুরের সিটি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ক্যাব প্রতিনিধি দলের সৌহার্দ্য বৈঠক